ফাস্টফুডের সাথে মেয়োনিজ ছাড়া যেন চলেই না। বিকালে চায়ের আড্ডাতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আছে, কিন্তু কীসের যেন একটা কমতি! ঠিক, মেয়োনিজ থাকলে নাস্তার টেবিল একদম পরিপূর্ণ হতো, তাই না? কিন্তু বাইরে থেকে কেনা এক বোতল মেয়োনিজের দাম তো অনেক, আবার মান নিয়েও মনে প্রশ্ন থেকে যায়। অনেক বাসায় সকালের নাস্তাতে পাউরুটির সাথে মাখিয়ে খেতে মেয়োনিজ ব্যবহার করা হয়। আবার আমার মতো অনেকেই আছে যারা শুধু শুধুই মেয়োনিজ খেতে পছন্দ করে। কিন্তু বাসায় তৈরি করতে গেলে অনেক সময় ঠিকমতো হয় না । চলুন জেনে নেই পারফেক্ট মেয়োনিজ-এর রেসিপি তৈরির পদ্ধতি।
উপকরণ:
- ডিমঃ ১টি
- লেবুর রসঃ ১ টেবিল চামচ
- সরষেঃ ১ চা চামচ
- সাদা তেলঃ ১ কাপ
- লবনঃ স্বাদ অনুযায়ী
- চিনিঃ ১/২ চা চামচ
- গুরা দুধঃ ১-২ চামচ
- ভিনেগারঃ ১চামচ
- গোলমরিচ গুরাঃ ১/২ চামচ
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমেই একটা ব্লেন্ডারের পাত্র নিয়ে তাতে একটা স্বাভাবিক তাপমাত্রার ডিম নিব।তারপর একে একে তেল বাদে বাকি সকল উপকরণ দিয়ে মিক্স করে নিব ১ মিনিটের মত। এখন আস্তে আস্তে একটূ করে তেল যোগ করব আর মিক্স করতে থাকব। এভাবে পুরো তেল টা দিয়ে মিক্স করতে করতে দেখা যাবে মেয়োনিজ ঘন হয়ে আসছে। হয়ে গেলো ঘরে বানানো মজাদার মেয়োনিজ।
টিপ:
- ময়োনেজ তৈরির সময় তেল ঢালার ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে তেল যোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। তেল খুব দ্রুত যোগ করলে মিশ্রণ সঠিকভাবে মেশাতে পারে না এবং ময়োনেজ পাতলা হতে পারে।
- মেয়োনিজ বানানোর সময় ফ্রিজে রাখা ডিম সরাসরি ব্যবহার করবেন না। ডিম ফ্রিজ থেকে বের করে আগে রুম টেম্পারেচারে নিয়ে আসতে হবে।
- যদি বানানোর সময় মেয়োনিজ ফেটে যায়, তাহলে আরেকটা ডিম ফাটিয়ে নিয়ে ব্লেন্ড করতে থাকুন। এতে মিশ্রণটি জমে যাবে।
- এটা ২-৩ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারবেন। ১ সপ্তাহের জন্য করতে চাইলে লেবুর রসের পরিবর্তে ভিনেগার দিতে পারেন।
তাহলে জানা হয়ে গেল ঘরে কিভাবে সহজেই পারফেক্ট মেয়োনিজ-এর রেসিপি বানিয়ে নেওয়া যায়। তৈরি করে ফ্রেশ অবস্থায় খেয়ে নেওয়াই ভালো, তাতে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হবার সুযোগ থাকে না। তাহলে স্বাদ ও মান নিয়ে আর কোনো আপোষ নয়, বাসায়ই বানিয়ে নিন রেস্টুরেন্টের মতো মজাদার মেয়োনিজ।