বিকেলের নাস্তায় পেয়াজু ভাজা আর চা কিন্তু খারাপ হয় না। বৃষ্টি ভেজা বিকেলে অথবা শীতের সন্ধ্যায় ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আবহাওয়াতে এই পেঁয়াজু ভাজা বাড়ির সবার পছন্দ। আমরা সাধারণত রোজার মাসেই পেয়াজু ভাজা টা বেশি করে থাকি।এছাড়া আমি মাঝে মাঝে পানতা ভাতের সাথে এটা খেতে পছন্দ করি।সেটা একদম আমার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।পেয়াজু কেনা বানাতে পারে।তবে মচমচে আর ক্রিস্পি পেয়াজু ভাজা একটু কঠিন।।তবে চলুন দেখে নেই মচমচে পেয়াজু ভাজা রান্নার রেসিপি।
উপকরণ:
মুসুরের ডাল বাটা ১ কাপ
চালের গুড়া ২-৩ চামচ
পেয়াজ কুচি ১ কাপ
কাচামরিচ কুচি ৪-৫ টা
আদা বাটা ১ চামচ
হলুদ গুড়ো ১/২
চামচ মরিচ গুঁড়ো ১/২ চামচ
ধনে গুড়ো ১/২ চামচ
লবন পরিমাণ মত
ধনে পাতা কুচি
কর্ণ ফ্লাওয়ার ১/২ চামচ
প্রনালী:
১) মুসুরের ডাল ৫-৬ ঘন্টা আগে থেকেই ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে।
২)এরপর ডাল থেকে ভাল করে পানি ঝরিয়ে পাটায় বেটে নিতে হবে।চাইলে আপনি ব্লেন্ডারে কাজটি করে নিতে পারবেন।তবে ডাল বাটা খুব বেশি মিহি করবেন না।
৩)এবারে ডালের মধ্যে বাকি সব উপকরণ দিয়ে খুব ভাল করে মেখে নিতে হবে।
৪) মেখে নেওয়ার জন্য হাত টাই ভাল।।তাতে পেয়াজু টা খেতেও মজা লাগে।
৫)এবারে একটা করাইতে তেল নিয়ে নিব।তেল একটু ভাল করে গরম করে চুলার আচ কমিয়ে ডাল বাটা ছোট ছোট বল বা, টিকার মত করে তেলে দিব।
৬)চেষ্টা করবেন ছোট করে দিতে।একপাশে ভাল করে ভাজা না হউয়া পর্যন্ত ভেজে নিন।চামচ দিয়ে বার বার নাড়াচারা করতে যাবেন না।।তাতে পেয়াজু ভেংগে যেতে পারে।
৭) পেয়াজু ভাজা একপাশে হয়ে গেলে অন্যপাশে একই ভাবে ভেজে তুলুন। হয়ে গেলো মচমচে পেয়াজু ভাজা।এটা শষার সালাদ,টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করুন ।
টিপ্সঃ
১)মুসুরেরডালের সাথে সামান্য পোলাও এর চাল দিতে পারেন।এতে করে স্বাদ আর ঘ্রাণ দুটোই ভালো হয়।
২)একটা আলু কুচি করে এর সাথে যোগ করলে বেশ পাকোড়া স্টাইল হয়ে যাবে।এটাও সবাই খুব পছন্দ করে।
৩) পুদিনা পাতা দিলেও স্বাদ্ব ভিন্নতা আসবে।